লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক গৃহবধূকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রাম পুলিশ বিপুল চন্দ্র রায়ের (৪৮) পুলিশের সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ওই নারীর নিজ বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় বিপুল চন্দ্র রায়েকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী আটক করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা গড্ডিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর স্বামী মন্টু শেখ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করায় প্রায় তার বাড়িতে এসে কু প্রস্তাব দিতো গ্রাম পুলিশ বিপুল চন্দ্র। বিপুল চন্দ্র ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা অমূল্য চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
বিপুল ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিলে ওই গৃহবধূ রাজি না হলে তিনি বারবার উত্যক্ত করতো। শনিবার মধ্য রাতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জরুরি কথা আছে বলে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে । এতে ওই গৃহবধূ রাজি না হলে পাঞ্জাকোলা করে ধরে বিছানায় ফেলে জোর পূর্বক ধর্ষণের জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করে। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকার করলে গৃহবধূকে ছেড়ে দিয়ে বিপুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেন।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আটক বিপুল চন্দ্র উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিপুল বর্তমানে গ্রাম পুলিশ থেকে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন।
এবিষয়ে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়াডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন, তার হেফাজতে থাকা আটক বিপুর চন্দ্র রায়কে দুপুরের দিকে স্থানীয় থানা পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়ে গেছেন। বিপুলকে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার পরিদশক (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, ওই গৃহবধু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আটক বিপুলকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।