মোঃ ফরহাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবী এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করে পাঁচ নারীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন পূর্ব সারডুবী এলাকার আহাম্মদ আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম মেয়ে ফাতেমা খাতুন, রহিমা খাতুন ও হালিমা খাতুন। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে গিয়ে আক্রমণের শিকার হন স্বয়ং আহাম্মদ আলী নিজেই।
৩১ মার্চ (রবিবার) পূর্ব সারডুবী এলাকার শাহাবুদ্দিনের তিন ছেলে সিরাজুল, সাফিউল ও শাহজাহান, সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী নারগিস, সাফিউলের স্ত্রী ময়না ও শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী চিরুজা বেগম মিলে রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী না প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে সাফিউল ইসলামের শ্যালক এস্তানুলের সাথে আহাম্মদ আলীর চতুর্থ কন্যা রহিমা খাতুনের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। সেই প্রস্তাব আহাম্মদ আলীর পরিবার প্রত্যাখ্যান করায় এই ঘটনা ঘটতে পারে বলেও ধারণা করছেন তারা।
ভুক্তভোগী আহাম্মদ আলীর বড় মেয়ে কাজলী বেগম বলেন, গত তিনমাসে কয়েকবার আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের শ্যালক এস্তানুলের সাথে আমার ছোটবোনের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ঘটক পাঠাচ্ছিলেন আমার জ্যাঠা ও তার ছেলেরা। আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করায় তারা জমি নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে আমাদের উপর সদলবলে হামলা চালিয়েছে।
ভুক্তভোগী আহাম্মদ আলী বলেন, আমার ভাতিজা সাফিউল প্রায় সময় আমার মেয়ের সঙ্গে তার শ্যালকের বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতো যা আমার স্ত্রী ও অন্য মেয়েরা কখনোই সমর্থন করেনি। সেই সুত্র ধরে আগেও দুদিন আমার সাথে জমি নিয়ে ঝগড়াঝাটি করেছে। আজ আমি বোরো ধানের জমিতে বৈদ্যুতিক মটর দিয়ে পানি দেওয়ার সময় আমার অনুপস্থিতিতে বড়ভাই, ভাতিজা ও তাদের স্ত্রীরা দলবেঁধে আমার স্ত্রী ও চার মেয়েকে আক্রমণ করে গুরুতর জখম করেন।
প্রতিপক্ষ শাহাবুদ্দিনের বড় ছেলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার চাচী বা চাচাতো বোনের গায়ে কেউ হাত তোলেনি। তারাই ডাব পাড়তে বাঁধা দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়ে নিজেরা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের মিটিংয়ে রংপুরে আছি, বিষয়টি জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।