লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
দ্রুত সময়ে ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু, ছাগলের মাংস প্রসেসিং করতে লালমনিরহাটে নির্মাণ হচ্ছে স্লাটারিং হাউজ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে লালমনিরহাট পৌরসভার বিডিআর হাট এলাকায় এই স্লাটারিং হাউজ নির্মানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে স্লাটারিং হাউজের মাধ্যমে গবাদিপশুর মাংস প্রসেসিং করলে গ্রাহকের অর্থ ব্যয় কমে আসার পাশাপাশি সময় ও শ্রম বাচবে।
এছাড়া জবাই পরবর্তী বর্জকে পরিশোধন করবে এই স্লাটারিং হাউজ। স্লাটারিং হাউজে এক ঘন্টায় ১৫ টি গরু ও ২৯ ছাগলের মাংস প্রসেসিং করা সম্ভব। সম্পূর্ণ হালাল পদ্ধতি অবলম্বনে ও স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে এবং দক্ষতার সাথে কাজ করবে স্লাটারিং হাউজ।
LIVESTOCK & DAIRY DEVELOPMENT PROJECT এর আওতায় এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ । এ-সময় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ও পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্লাটারিং হাউজের ভিত্তিস্থাপন শেষে লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন বলেন, গরু, ছাগল জবাই করার পর যে বর্জগুলো থাকে সেগুলো পরিবেশের ক্ষতি করে। কিন্তু স্লাটারিং হাউজে গরু, ছাগলের মাংস প্রসেসিং করা হলে জবাই পরবর্তী বর্জ্য পরিশোধন হবে। এতে পরিবেশে খারাপ প্রভাব পড়বে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মানের ধারাবাহিকতায় প্রতিটি জেলায় সরকার স্লাটারিং হাউজ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথম ধাপে ১৮ টি জেলায় এই হাউজ নির্মান হচ্ছে এর মধ্যে লালমনিরহাট একটি। এই হাউজ নির্মান হলে আগামীদিনে জেলার মানুষ স্বাস্থ্য সম্মতভাবে প্রসেসিং হওয়া হালাল গবাদিপশুর মাংস পাবে। এছাড়া এখানে জবাই হওয়া গবাদিপশুর চামড়ার কোনো ক্ষতি হবে না এবং সংরক্ষিত থাকবে, ফলে উন্নতমানের চামড়া পাওয়া যাবে যা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সহজ হবে।